সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুযোগ

আমি দেবদত্ত। বয়স ২৮. পেশায় শিক্ষক। আমি একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের গণিতের শিক্ষক। বাড়িতে টুকটাক টিউশনি করি। সবেমাত্র মাধ্যমিকের টেষ্ট পরীক্ষা শেষ হয়েছে। একদিন আমি বাড়িতে টিউশনি পড়াচ্ছি। সবাইকে কয়েকটা অংক করতে দিয়েছি। বলেছি যার আগে হয়ে যাবে সে বাড়ি চলে যাবে। এক এক করে সবাই খাতা দেখিয়ে বাড়ি চলে গেল। সব শেষ খাতা নিয়ে এল রিম্পা ( এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষাথ্রী যদি টেস্টে পাশ করে) । রিম্পা — স্যার! আপনার সাথে কিছু কথা ছিল। আমি — হ্যাঁ বলো। রিম্পা — আমার কিছু অংক আটকে গেছে, যদি একটু দেখিয়ে দিতেন। আমি — ঠিক আছে, পরের দিন এসে দেখিও, করে দেব। রিম্পা — আসলে স্যার, সকলের সাথে আমি ঠিক বুঝতে পারি না। আর কিছু জিজ্ঞাসা করলে ওরা হাসাহাসি করে। আমি — কিন্তু আজ তো সন্ধ্যা হয়ে গেছে। রিম্পা — অসুবিধা নেই স্যার আমি চলে যেতে পারব। যদি আপনার অসুবিধা থাকে তো…… আমি — না না কোন অসুবিধা নেই, ঠিক আছে তুমি অংক গুলো বের করো। রিম্পার আগ্রহে আমি একটু অবাক হলাম। যে মেয়ে পড়াশুনার কথা বললে আশপাশে থাকে না, সে কিনা নিজে থেকে অংক করতে চাইছে! আবার ভাবলাম মাধ্যমিক এসে গেছে তাই বুঝি পড়াশুনায় মন বসেছে। আমি বেশ ধৈর্য ধরে

দ্বীপ জ্বেলে যাই

শিখা আর পিউয়ের বন্ধুত্ব আমাদের প্রেমের থেকে অনেক পুরনো। যেদিন থেকে আমার শিখার সাথে আলাপ আমি ওর আর পিউয়ের বন্ধুত্বের কথা জানি। স্কুলের গণ্ডি ছেড়ে কলেজে এসে আলাপ হয় ওদের, এতো গভীর আর দৃঢ় বন্ধুত্ব সচরাচর মেয়েদের মধ্য দেখিনি। পিউয়ের জীবনে এমন কিছু কথা ছিলোনা যা শিখা জানত না, আমাকেও বলেছে অনেক কিছুই। আমিও পিউকে নিজে চিনেছি, দুটো মিলিয়ে আমি পিউকে বেশ বুঝতে পারি। বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে ওর সাথে। দেখা হলেও তেমন কথা হয় না, পিউয়ের কথা বার্তা আমার ভালো লাগে না। নিজের জীবনের দুঃখ নিয়ে চর্চা করা ছাড়া অন্য কোন আলোচনা করতে পারে না, এইসব মেয়েলি প্যানপ্যানানি আমার আবার সহ্য হয় না। কিন্তু শিখা ওর সব কথা আন্তরিক ভাবে শোনে, ওকে সান্ত্বনা বা পরামর্শ দেয়। যে কয়েকবার ওদের সাথে দেখা হয়েছে আমার বেশির ভাগ সময় কেটেছে পিউয়ের বর দীপের সাথে কথা বলে। দীপ বেশ বুদ্ধিদীপ্ত ছেলে। সরকারি কলেজে প্রোফেসর, ইতিহাস নিয়ে পড়ায়, সেই নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসে। দীপকে আমার বেশ পছন্দ, মিতভাষী কিন্তু বেশ হাসিখুশি ওর সাথে কথা বলে সময়টা ভালই কেটে যায়। এমনিতে চুপ করে থাকে কিন্তু যখন ইয়ার্কি মারে সেটা বেশ সরসতা পূর্ণ। পিউ আবার এর বিপরীত,

অন্ধ শয়তান ৫ (শেষ)

তার আশেপাশের সব মানুষ গুলো আর তাদের প্রত্যেকের যোগ্য চরিত্রায়নের এত নির্ভুল প্রতিরূপ??? গুঙিয়ে কেঁদে উঠলো আলোক। মির্ত্যুপুরির সব এল আসতে আসতে নিভে যাচ্ছে , ডুবে যাবে এই মৃত্যু পুরি কালের গর্ভে। হয়ত কেউই জনতে পারবে না ইরশাদের কথা বা মনিকার কথা।যে মানুষটা এত নির্ভুল চক্রব্যুহে আলোক কে অর্জুন বানিয়েছে তার সামান্য কিছু নির্দেশের এক ঝলকে ১৩ নম্বর আলোকের জীবনের ধারাবাহিকতা বদলে দিল।আলোক কে পুনিত সিংহ এর বাড়ি পৌছে দেওয়া খুব সহজ কাজ।সুধু এই টুকু কাজ করে দিয়ে ব্রজবাবু এই বিভিসিখাময় খেলার এমন পরিসমাপ্তি করলেন তাই বোধহয় কৃষ্ণেরবধ হয়েছিল মুন্না নামক ব্যাধের হাতে! ঈশান ভাই তারা দিল "সময় নেই আলোক নিজের জীবন সুরু কর, এখনি খালি করতে হবে এই জায়গা, আমি চাইব আর তোমার আমাদের কারোর সাথে দেখা না হোক।" কালো কুচ কুচে অন্ধকার দিয়ে হাতে হাত ধরে ছুটে চলেছে রুবি আর আলোক। ভরসা নিয়ে, কোন বুলেটে তাদের নাম লেখা। মৃত্যুপুরী তে কে শত্রু আর কেই বা বন্ধু তা আলোক জানে না।DK ওদের মৃত্যুপুরী থেকে বেরিয়ে যাবার সময় একটা নম্বর দিয়েছিল সেটা রুবি কে যত্ন করে রাখতে বলেছে।অনেক কিছু বদলে যাবে হয় তো এর পর। এ খেলায় জি