সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একাকী গৃহবধূ

মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটনা আছে যেগুলো সবার সামনে প্রকাশ করা যায় না। সেগুলো সারা জীবন মনের মধ্যেই চাপা থাকে; এই নশ্বর দেহ বিলীন হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সেগুলোও তলিয়ে যায় কালের গর্ভে। যদিও বা কখনো সুযোগ আসে সেগুলো মানুষের সামনে প্রকাশ করার, তখন হয়তো দেখা যাবে এসব ঘটনা সমাজের চোখে অত্যন্ত কুরুচিকর এবং অন্যায়। কিন্তু আমরা যদি সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিচার করি তাহলে দেখতে পাবো এর মধ্যে অন্যায় মোটেই নেই। আছে বলতে শুধু মাত্র ভাগ্যের খেলা এবং ক্ষনিকের চাহিদা।  এরকমই একটা ঘটনার সাক্ষী আমি। তখন আমার বয়স কতো হবে? বড় জোড় দশ কি এগারো বছর। অতদিন আগে ঘটনাটা ঘটলেও এখনো আমার সব কিছু স্পষ্ট মনে আছে। এত গুলো বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর, নিজের একান্ত সময়ে কোনো বিষয় নিয়ে যখন ব্যস্ত থাকি তখন কখন যে সেই ঘটনাটা আমার মনের কোণে এসে উপস্থিত হয় তা আমি নিজেও জানি না। তবে বেশ বুঝতে পারি এর প্রভাব আমার জীবনে কতটা। যাই হোক, সেই ঘটনাই আজ আমি আপনাদের বলতে চলেছি। সব চরিত্রের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে তাদের কোনো লজ্জাজনক পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে না হয়। আমার বাবা সেনাবাহিনীতে এক উচ্চপদস্থ অফিসার ছিল। বলা বাহুল্য, সে কাজের চা

পাপ

সময়টা ১৯৭১। বর্তমান বাংলাদেশে তথা তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। “বিরলা” বাংলার একটি ছোট্ট গ্রাম। গ্রামটি বেশ ভিতরে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই চাষা ভুষা। শিক্ষার আলো তেমনভাবে পৌঁছায়নি তখনও। এ গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। ছাত্র খুব একটা হয়না৷ বাবা-মা সন্তানকে পড়ানোর চেয়ে খেতে-খামারে কাজ করাতে চান বেশি। চার দিকে অভাব। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণে বাংলার অবস্থা বেশ নাজুক। স্কুলটিতে চারজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন দুজন৷ এখন অবশ্য একজনই আছেন। মতিন সাহেব৷ আরেক জন শিক্ষক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলে গেছেন, আর ফেরেন নি৷ মতিন সাহেব কোথাও যাননি। যাওয়ার জায়গাও নেই। এতিম মানুষ তিনি। বাবা-মা ভাইবোন কেউই নেই। এক খালা আছে। তিনিও অনেক দূরে থাকেন৷ তারা বেঁচে আছে কিনা কে জানে। মতিন বিয়ে করেছেন বেশি দিন হয়নি৷ তার স্ত্রী দুই মাসের গর্ভবতী। স্ত্রীর এই অবস্থায় মতিন আর কোথাও যাননি। কারণ বিরল গ্রামটি বেশ ভিতরে হওয়ায় পাকিস্তানি বাহিনী এখনও এদিকে আসেনি৷ তার উপর এই গ্রামেই মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প আছে৷ তাই এখানে থাকাটাই আপাতত নিরাপদ। মতিনের স্ত্রীর নাম নাসিমা। অল্প বয়স। ঊনিশ কি বিশ হবে৷ বিয়ের পরে স্বামীর চা

শিক্ষিত লম্পট শ্বশুড় আর যুবতী ভদ্র বৌমা

এই গল্পটি আমাদের লিখে পাঠিয়েছেন “মৌসুমি তামান্না চম্পা” । আমরা তার পাঠানো গল্পটি তার মতো করেই শেয়ার করছি। ============================================= আমাদের গ্রামের বাড়ীতে আমার খুড়তুতো ছোট দেবরের বিয়ে হল।ছোট বাড়ী গেস্ট চলে যাবার পরও অনেক লোক। রাতে ঘুমাবার জায়গা নাই।নতুন বর বৌকে আমাদের ঘরটা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঠিক হল আমার স্বামী বাচ্চাদের ছোটো ঘরের মেঝেতে আমার শ্বশুর বৈঠক খানায়। শ্বশুর শ্বশুড়ির ঘরে বিছানায় আমার পিশি শ্বাশুড়ি আর পিশে শ্বশুর । ঠিক হল আমি কাকি শ্বশুড়ির সাথে ঐ ঘরের মেঝেতে ঘুমাবো আর আমার শ্বাশুড়ী ফ্যান থাকায় কিচেনের কাছে ছোট স্টোর রুমে ঘুমাবেন। শ্বশুর শুতে চলে গেলেন কথামত সবাই শুয়ে পড়লাম। আমিও শুয়ে পড়েছি কাকি শ্বশুড়ির পাশে এই সময় তিনি জরুরি কথা আছে বলে আমার শ্বাশুড়ীকে ঘুমাতে রিকোয়েষ্ট করলেন তার কাছে। শাশুড়ী তার কাছে ঘুমাতে গেলেন আর আমাকে তার জায়গায় স্টোর রুমে বললেন ঘুমাতে। কি আর করা আমি শ্বাশুড়ীর কথামত স্টোর রুমে তার জায়গায় ঘুমাতে গেলাম। আমার শ্বাশুড়ীর বয়স প্রায় ৫০, কিন্তু দেখলে অতটা মনে হয় না। উচ্চতা শরীরের গঠনে ওনার সাথে আমার দারুণ মিল। উনিও আমার মতই ছিপছিপ