অর্নিলার চোখের কোনে পানি চলে এল,সহ্য করতে না পেরে কেদেই ফেলল সে।হুজুর শান্ত গলায় ওকে নিজেকে শক্ত হতে বললেন।কারন ওই পিশাচ যদি ওর সন্তান রূপে জন্ম নিয়ে ফেলে তবে অনেক অঘটন ঘটাবে সে।কিন্তু নিজেকে স্থির করা কি এতোই সহজ?অর্নিলার প্রথম সন্তান,কত স্বপ্ন ছিল ওকে ঘিরে। একটা নামও ঠিক করে ফেলেছে সে।অথচ সেই সন্তান নাকি একটা পিশাচের রূপ হতে যাচ্ছে।ব্যাপারটা হুজুরও বুঝতে পারলেন তাই তিনি আর কথা না বাড়িয়ে অর্নিলাকে কিছু সময় দিলেন।ধীরে ধীরে নিজেকে শান্ত করে অর্নিলা স্থির হয়ে বসলো।তার মনে ঘৃনার জন্ম হল,একটা জানোয়ার রূপী শয়তান নাকি ওর সাথে সহবাস করেছে তাও আবার নিশাণের রূপ নিয়ে।ভাবতেই ভিতরে একটা ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠলো।হুজুর বুঝতে পারলো ব্যাপারটা,অর্নিলার ভিতরের মনোবলই পারবে ওই পিশাচের আগমন থামাতে।তিনি অর্নিলার চোখে চোখ রেখে বললেন,- . -মা,তোমার সামনে দুটো রাস্তা আছে ওই জানোয়ার রূপী শয়তানকে থামানোর।১ম উপায় হলো তোমার সন্তানটা ফেলে দিতে হবে,নষ্ট করে দিতে হবে।যদিও কাজটা ঠিক না তবে ঝুকি কম।২য় উপায় হলো আমার দেয়া একটা তাবিজ ওই জানোয়ারটাকে ছোয়াতে হবে।এতে সে দুর্বল হয়ে পড়বে আমি কাছেই থাকবো বাকি কাজ আমিই করবো।
এখানের প্রতিটি গল্প কাল্পনিক, ফ্যান্টাসিমূলক এবং শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আনন্দের জন্য দেয়া হয়েছে। ব্যবহারিক প্রয়োগ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। আমরা আপনার গৃহীত পদক্ষেপের জন্য কোনভাবেই দায়ী থাকব না।